পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

পড়শি যদি আমায় ছুঁতো যম যাতনা সকল যেত দূরে: লালন সাঁই

hhhhhhhhhhhhhh

আমাদের সন্তানরা যখন বড় হবে, তখন হয় আজকের এই অন্ধকার আর থাকবে না, নয় গাঢ়তর হবে। তখন তাদের যা যা পড়াতে হবে কিভাবে এই অন্ধকার কাটল তা বোঝানোর জন্য, অথবা কেন কাটল না তা বোঝানোর জন্যও যখন বলতে হবে অন্ধকারেও কারা আলো জ্বেলে রেখেছিল, তখন কাজে আসবে সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননায় দোষী সাব্যস্ত প্রশান্ত ভূষণের এই বিবৃতি

Read more


পরাধীন ভারতবর্ষ দেখেছে “Hand Picked Tribunal”. দেখেছে ভগৎ সিং-এর ফাঁসির রায়। স্বাধীন ভারতবর্ষ দেখতে চায় এক ন্যায় সঙ্গত সুবিচারক; যে বা যারা রাষ্ট্র শক্তি দ্বারা প্রভাবিত নয়। শুধুমাত্র তথ্য প্রমাণ আইন ও তার ব্যাখ্যা দিয়ে নয়, একজন বিচারক সঠিক বিচার তখনই দিতে পারেন যখন দেশের অধিকাংশ মানুষের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকবে।

Read more


সদ্য প্রতিষ্ঠিত ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সংস্থা’ (ইউনিভার্সাল হেলথ অর্গ্যানাইজেশন / ইউ এইচ ও) একটি গণবিতর্কের ডাক দিয়েছে। ২৯শে মে, ২০২২-এ ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়েছে। গবেষক, চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্যবিদদের মিলিত প্রচেষ্টায় গঠিত এই সংস্থা জানিয়েছে, কোভিড-এর টিকা নামে অধুনা যা যা প্রচলিত তা যে সংক্রমণ রোধ করতে পারে এমন কোনও প্রমাণ আজ অবধি মেলেনি; তারা যে সংক্রমণ-জনিত কুফল, এমনকী মৃত্যু রোধ করতে পারে এমন প্রমাণও নেই। অনুবাদ করলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক স্থবির দাশগুপ্ত।

Read more


সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার তিনটি অঙ্গ, আইনসভা, প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থা। সংবিধানের বিধিনিষেধের মধ্যে থেকে আইন প্রণয়ন করতে পারে আইনসভা, সেই আইন অনুযায়ী কাজ করার কথা প্রশাসনের। সুপ্রিম কোর্টের মতাদর্শ নিরপেক্ষ ও নির্ভীক বিচারকেরাই পারেন দেশে আইনের শাসনকে কার্যকরী করে তুলতে, শাসকের রক্তচক্ষু ও প্রলোভনকে উপেক্ষা করে। অতীতে ভারতীয় বিচারব্যবস্থা তথা সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ ক্ষেত্রে নতজানু হয়েছে শাসকের কাছে (যেমন জরুরি অবস্থার সময়ে), কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে, গত ৮ বছরে বিচারব্যবস্থা তথা সুপ্রিম কোর্ট ক্রমাগত শাসকের আদালতে পরিণত হচ্ছে, কোর্টে সলিসিটর জেনারেল সরকার পক্ষের হয়ে যা বলেন অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেটাই রায় হিসেবে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। সম্প্রতি দায়িত্ব নেওয়া প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের আপাত প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গীর রায়গুলির বিপ্রতীপে রয়েছে বাবরি-অযোধ্যা সংক্রান্ত, বা বিচারপতি লোয়ার মৃত্যুর পুনর্তদন্ত সংক্রান্ত অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক রায়। সংবিধানের উপরে ফ্যাসিবাদি আক্রমণের এই সঙ্কটমুহূর্তে সুপ্রিম কোর্ট কী অবস্থান গ্রহণ করে তার উপরে ভারতীয় গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ বহুলাংশেই নির্ভর করছে।

Read more


অবশেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আপাতত মাথা নত করলো, কেন্দ্রীয় সরকার। কলেজিয়াম পদ্ধতি যত দিন না পরিবর্তন হচ্ছে, ততদিন বিচারপতিদের আসন শূন্য থাকবে বলে হুমকি দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকার অবশেষে ৪৪ জন বিচারপতিকে নিয়োগ করবে বলে জানালো সর্বোচ্চ আদালতে। কি সেই কলেজিয়াম ব্যবস্থা, যা নিয়ে এতো ভীত কেন্দ্রের সরকার? কলেজিয়ামের পরিবর্তে NJAC হলেই কি সব সমস্যার সমাধান হবে, সেই নিয়েই এই আলোচনা।

Read more


অনেকে হয়তো সাম্প্রতিক সময়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে বাংলার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিরোধিতা করছেন, অনেকে হয়তো দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে কাঠগড়ায় তুলছেন, কিন্তু তাঁরা কি একবার ভেবে দেখবেন, এই সর্বোচ্চ আদালতই এখনও অবধি কেন্দ্রের শাসকদলের পুরো বিচারব্যবস্থাকে করায়ত্ব করার প্রয়াসকে কিছুটা হলেও ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছে। তদন্ত শেষ হয়নি বলে, দিনের পর দিন কাউকে গ্রেপ্তার করে রাখা অন্যায় এই রায়ের মধ্যে দিয়ে সর্বোচ্চ আদালত কি সেই চেষ্টাই করলেন না?

Read more


পশ্চিম বাংলায় আমরা তো প্রতিদিনই রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকারের দ্বৈরথ প্রত্যক্ষ করছি। পশ্চিম বাংলাতেও সম্মতির জন্য রাজ্যপালের কাছে ২২টা বিল ঝুলে আছে বলে অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সংঘাত আমাদের নজরে আসে। মোদীর পছন্দের রাজ্যপাল সুযোগমত বিজেপির ধ্যানধারণার প্রতি বিশ্বস্ত ব্যক্তিদেরই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য রূপে নিয়োগ করে থাকেন। শুধু বাংলা নয়, অবিজেপি প্রায় প্রতিটি রাজ্যের সরকারের সঙ্গে সেই রাজ্যের রাজ্যপালের সংঘাত চলছে।

Read more


আজকের সময়ে বিচারপতিরাও প্রবল চাপে আছেন তা বোঝাই যাচ্ছে। এটা অবশ্যই বলা যেতে পারে যে আজ যখন রাষ্ট্রের যাবতীয় প্রতিষ্ঠান শাসক দলের কুক্ষিগত হয়ে গেছে তখন বিচারব্যবস্থা তার নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই নিরপেক্ষতা অনেকটাই গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই শক্তিশালী হওয়ার ওপর নির্ভর করছে।

Read more


একটা বিষয় স্পষ্ট বর্তমান শাসক দল নির্বাচনী বন্ডের সবচেয়ে বেশি সুবিধা ভোগ করেছে বা করছে। বিরোধীরা এ বিষয়ে খুব একটা চাপ সৃষ্টি করতে পারছে বলে মনে হয় না। নির্বাচন কমিশনও টু শব্দটি করছে না। উল্টে লোকসভা নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী খরচ ৭০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৯৫ লাখ টাকা করেছে। ফলে বন্ডের সাহায্যে বাড়তি রোজগারের রাস্তা প্রশস্ত করেছে। উপায় এখন উচ্চ আদালত। ভরসা প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।

Read more


বেশ কয়েক বছর আগে থেকে রামদেবের ক্ষমতার সর্বোচ্চ কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগের শুরু। এ সম্পর্কের গভীরতা এবং দৃঢ়তা অনুধাবন করতে পারলে আমাদের মতো প্রায় সমস্ত সাধারণ মানুষের চোখ কপালে ওঠা অস্বাভাবিক কোন ঘটনা হবেনা। ২০১৬ সালের পরে হরিয়ানা সরকার আরাবল্লি পর্বতমালার যে এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষিত অরণ্যের মধ্যে পড়েনা সে অংশ নিরঙ্কুশভাবে তুলে দিয়েছে “বাবা”র হাতে। কিন্তু এবার, বগা ফান্দে পড়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে, ধমক খাওয়ার ফল কী হয়, তার দিকে এবার সারা দেশ তাকিয়ে থাকবে।

Read more